শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

এক টাকা কাবিনে দেনমোহর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে

দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাঁরা।আর এই বিয়েতে বর বেশে ছিলেন যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকায় পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি গণমাধ্যমকর্মী রনি মিয়াজী।শনিবার ১১ নভেম্বর দিনগত রাতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকায় কনের বাড়িতে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কনের নিজ ইচ্ছায় এবং উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়েতে কাবিন নামায় রেজিস্ট্রেশন

খাতায় দেনমোহরধরা হয় এক টাকা পরিশোধ করেন বর রনি মিয়াজী

এরপর সেখানে আয়োজিত হয় বিয়ে–পরবর্তী ভোজের উৎস।গণমাধ্যমকর্মী রনি মিয়াজীর একই উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ভজনপুর বাসামোড় এলাকার আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারী কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকায় পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

এদিকে নববধু ফাতেমা তুজ জহুরা আজিজ নগর এলাকার ফরহাদ হোসেনের মেয়ে। তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল এন্ড হাসপাতাল থেকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং শেষ করে বর্তমানে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

সাংবাদিক রনি মিয়াজী বলেন

সমাজিক ও মানবিক কাজ করা থেকেই আমরা সাংবাদিকতা শুরু। আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অনেক নারীকে শুধু যৌতুকের জন্য স্বামীর হাতে নির্যাতন ও জীবন যেতে দেখেছি। পাশাপাশি আমি যৌতুকসহ সমাজিক অবক্ষয় রোধে একসময়ে শিক্ষার্থীদের শপথসহ লাল কার্ড দেখিয়ে সচেতন করেছি। তাই ইচ্ছে ছিল আমি বিয়ে করলে যৌতুক ছাড়াই বিয়ে করবো। আমরা মানুষকে সচেতন ও অনুপ্রাণিত করতে এমন উদ্যােগ গ্রহন করি। একই কথা বলেন নববধু ফাতেমা তুজ জহুরা। তিনি বলেন, সমাজে দেনমোহর কম বেশী দেয়া নিয়ে ইদানিং বর-কনে পক্ষে অনেক রকমের কথা হয়। পাশাপাশি সমাজে নারীরা আজ যৌতুকের কারনে নির্যাতিত হচ্ছে। অনেক নারী জীবনও দিয়েছে। আমরা দুজনে যেহেতু মানুষের সেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, তাই খুব কাছে থেকে এমন করুণ দৃশ্য দেখেছি। ফলে আমরা দুজনে এমন উদ্যাগ নিয়েছি।

বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

টেলিভিশনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি লুৎফর রহমান সময় সংবাদকে জানান, সাধারণত দেখা যায় কনেপক্ষই দর-কষাকষি করে কাবিনের সময় দেনমোহর বাড়িয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা।সময় টেলিভিশনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি সোহাগ হায়দার জানান, বিয়ের দেনমোহর নিয়ে নানা ঘটনার প্রত্যক্ষ করেছি। তবে এই বিয়ে পুরোই ব্যতিক্রম। আর্থিকভাবে সচ্ছল এক নারীর আত্মমর্যাদা রক্ষার দৃষ্টান্ত এই বিয়ে।এ বিষয়ে বরের বাবা আনিছুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, আমার একমাত্র ছেলের বিয়ে হলো। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলের বউকে ঘরে তুলবো। তাদের জন্য দোয়া চাই, তারা যেন সুখী হয়।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন