শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

পঞ্চগড়ে ভুয়া অ্যাম্বুলেন্সের ছড়াছড়ি, নেই কোনো তদারকি

মুর্মুষু রোগী পরিবহনের মতো একটি সংবেদনন

শীল কাজ অ্যাম্বুলেন্স সেবায় পঞ্চগড় সহ  উপজেলাগুলোতে চলছে নৈরাজ্য আর বাণিজ্য অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে টাকাই মুখ্য হয়ে ওঠেছে। এ সুযোগে এখন রেন্ট এ কারের মতোই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা চলছে।অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনায় কোনো নীতিমালা না থাকায় সেই সুযোগ নিচ্ছে পঞ্চগড় জেলার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে লক্কড়ঝক্কড় অ্যাম্বুলেন্স ও অন্য যানকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করে সারি সারি দাড়িয়ে রয়েছে । দখলমুক্ত রাখতে ফুটপাত বা রাস্তায় অবৈধ চা-দোকানী উচ্ছেদ হলেও বহাল তবিয়াতে আছে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরা

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করার আগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ”র) অনুমোদন লাগে। একইভাবে বেসরকারি খাতেও বিআরটিএ’র অনুমোদন ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালুর কোনো নিয়ম নেই। সরকারি বিধি অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের গাড়িতে রোগী ও চিকিৎসকের জন্য থাকতে হয় বিশেষ আসন বা শয্যা। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য থাকবে সচল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামের বাক্স। রোগীর অন্তত একজন স্বজন বসার ব্যবস্থা থাকবে। তা ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসব নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই পঞ্চগড় জুড়ে চলছে সিংহভাগ অ্যাম্বুলেন্স। এর একটি বড় অংশ রয়েছে পঞ্চগড় সদর আধুনিক  হাসপাতালের সামনে। এখানেই আছে প্রায় ২৮-৩০ টি অ্যাম্বুলেন্স। অধিকাংশই এ সব অ্যাম্বুলেন্সে নেই ফিটনেস। অনেকেরই একক ব্যক্তির মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এগুলোকে কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে চলাচল করতে হবে। কিন্তু এসব কোন কিছুই তোয়াক্কা না করেই। রোগী পরিবহনের মতো কোনো সুবিধা ছাড়াই সাধারণ মাইক্রোবাসকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে পথে নামিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এসব অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে অ্যাম্বুলেন্স লেখা থাকলেও আসলে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। পঞ্চগড় সদর  হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়  হাসপাতালের রোগী পরিবহনে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবহার তেমন একটা হচ্ছে না, যা চোখে পড়েছে তার বেশির ভাগই বেসরকারি।

অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নানা সময়ে দুর্ভোগ পাওয়া পঞ্চগড় সদরের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা তার বিন্দুমাত্রও নেই। অধিকাংশ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নেই রোগী ও চিকিৎসকের বসার জন্য আসন, সচল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম। সাধারণ মাইক্রোবাসের মতো যাত্রী বসার সিট ছাড়া আর কিছুই নেই। সবচেয়ে বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে মরদেহ পরিবহনের ক্ষেত্রে।

এ বিষয়ে কথা হয় পঞ্চগড়ে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে। তাতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা গেছে, পঞ্চগড় সরকারি হাসপাতালে (২) টি ,ফায়ার সার্ভিস (১)টি , পঞ্চগড় পৌরসভার (১) টি,পঞ্চগড় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের (১)টি মোট পাঁচ টি

অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ছাড়া অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হয়েছে মাইক্রোবাস কেটে। ফলে এসব অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো নেই। অ্যাম্বুলেন্স দেখলে সাধারণ যেকোনো যানজট থেকে সহজে ছাড়া পাওয়া যায়। হরতাল অবরোধেও নির্বিঘে চালানো যায়। এ সময় সুস্থ লোককে রোগী সাজিয়ে ভাড়া টানা যায়। পুলিশসহ প্রশাসনের কেউ অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নজর দেয় না।  (বিআরটিএ) মোটরযান পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম জানান পঞ্চগড় জেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা সঠিক ভাবে বলতে পারছি না ।লক্কড়ঝক্কড় অ্যাম্বুলেন্স ও অন্য যানকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করে কেউ কেউ এ ব্যবসা পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম. মুসুদ পারভেজ জানিয়েছেন, সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে আমি অবগত নই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানাবো। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এছাড়া, যানবাহন চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যানবাহনের বিষয়টি মূলত আমাদের ট্রাফিক বিভাগ দেখে। আমি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাহেবকে জানাবো এবং আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবো।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন