মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

জাতীয় বাজেট ২০২৫ -২৬ সিপিডি বাজেট পর্যালোচনা। অনেক ভালো কাজের মধ্যে কিছু সমস্যাও পরিলক্ষিত হয়েছে

ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার অনেকটা ছোট। তবে অনেক বিষয় নতুন সংযোজন করা হয়েছে। রাজস্ব আহরণের মাত্রা কমিয়ে ৫ লাখ ৮০ হাজার করা হয়েছে। তবে ভালোর মধ্যে অনৈতিক একটা কাজ করা হয়েছে। তা হলো বাড়ি বা হাউজিং কাজে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা। এটা নৈতিক অবক্ষয়। সিপিডি তা সমর্থন করে না। এ ধরনের সুযোগ বাজেটের মূল থিমের সঙ্গে যায় না। উপরন্তু জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা কোনো মানদণ্ডে যায় না। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি। তা না হলে ভালো করদাতারা নৈতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ অভিমত তুলে ধরেন।
ড. ফাহমিদা বলেন, ভৌত অবকাঠামো খাতের মধ্যের পরিবহন, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ভালো রয়েছে। আবার জুলাই যোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার করা হয়েছে। সেটাও ভালো উদ্যোগ। বাজেটের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার করা হয়েছে। যা ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার। সেই দিক থেকে এটা ভালো। তবে করের স্থরভেদে মধ্যম পর্যায়ের করদাতাদের ওপর চাপ পড়বে বেশি। সেই তুলনায় উচ্চ পর্যায়ের করদাতাদের ওপর চাপ কম পড়বে। আর অঞ্চল নির্বিশেষে যে ৫ হাজার টাকার করসীমা করা হয়েছে, সেটি বৈষম্যের মধ্যে পড়ে। কেননা, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেবার সমান সুযোগ থাকে না।
তিনি বলেন, শিল্পের ক্ষেত্রে কিছু ভালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে। তবে অল্প কিছু শিল্প খরচ বাড়ায় চাপে পড়বে। শুল্ক কমাতে হবে। এ জন্য ব্যবসা পরিচালনা খরচ বাড়বে। ক্ষতি পোষাতে সাশ্রয়ী ঋণ ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তুলনামূলক সস্তা সরবরাহ থাকা দরকার।

ড. ফাহমিদা করের লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ২০৩৫ সালে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য ধরা হয়েছে ৯ শতাংশ। তাহলে ১০ বছরে মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে কেন? এটা মধ্য মেয়াদি সামষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হিসাবে সমীচীন হবে না।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন