
শ্রীমঙ্গলে সিন্দুরখান বাজার জামে মসজিদের সভাপতি ফুল মিয়াসহ তাদের অনুসারীদের আচরণে চরম ক্ষুব্ধ মসজিদের মুসল্লীগণসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা বিরাজ করছে সিন্দুরখান বাজার কমিটিসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মধ্যে। ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, আয়-ব্যয়সহ যতাযত স্বচ্ছতা না থাকার কারণে অসন্তোষ ও উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ মসজিদের মুসল্লীগণ বলেন- সিন্দুরখান বাজার জামে মসজিদটি সব চাইতে বড় মসজিদ। বিশাল এই বাজারে দুর-দুরান্ত থেকে আসা লোকজন নামাজ পড়তে আসেন। অনুদান প্রাপ্তিসহ অনেক টাকা উত্তোলন হয়। প্রাপ্ত অনুদানের টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু, মসজিদের উন্নয়ন কাজে লাগছে না। একি সাথে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। এখানে অনিরাপদ একটি টয়লেট ও প্রশ্রাব খানা থাকলেও মুসল্লিদের জন্য নেই মানসম্মত বাতরুম, প্রশ্রাব খানা এবং অজুর ব্যবস্থা। রাগান্নিত হয়ে এক মুসল্লি জানান- গত শবে বরাত রাতে মুসল্লিগণ পানির অভাবে অজু করে নামাজ আদায় করতে পারে নি। মসজিদের পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরেছেন সভাপতি ফুল মিয়া। কোন মুসল্লি মসজিদের আয়-ব্যায়, উন্নয়নসহ সংশ্লিষ্ট কিছু জানতে চাইলেই তাকে কোন সঠিক উত্তর দেওয়া হয় না। বড় বাজার অনেক দূর থেকে মানুষ জন আসে, আজান এর সাথে সাথেই অনেকেই নামাজ পরতে আসেন। আমাদের মসজিদে অনেক আয় হলেও কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। এত বড় মসজিদ নাম মাত্র একটি বাতরুম ও একটি প্রস্রাবখানা। বাজারের একাধিক লোকজন জানান- মসজিদে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। রাজতন্ত্র চলছে। এখানে সভাপতিই হর্তা-কর্তা। স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফটিক মিয়া বলেন- আমরা মসজিদের সুষ্ট ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন মূলক পরামর্শ প্রদান করলে সেই পরামর্শকে আমলে নেওয়া হয় না। বিশেষ করে মসজিদ কমিঠির সভাপতি ও তার অনুসারীরা তাদের নিজের মৌরসী সম্মত্তি মনে করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি ফুল মিয়া বলেন- গত শবে বরাত যে ঘটনা টি ঘটেছে তা আমার ছোট ভাইয়ের সাথে ঘটেছে। মসজিদের পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আমি পুকুর শুকিয়েছি। তিনি স্থানীয় কিছু লোকজনদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত রমজানের ঈদে একটি জামেলা হয়। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয় মীমাংসা করা হয়।