মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টের

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আমির মিয়া নামের এক কৃষকের ঝিঙে ক্ষেত ও অন্যান্য ফসলাদি নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

১৯ এপ্রিল বুধবার রাতে উপজেলার বিরইনতলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে৷

স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কৃষক আমির মিয়ার নিজস্ব জমিতে ফসলাদি চাষ করেন। এবারও চলতি মৌসুমে তিনি তার (১৫ শতাংশ) জমির উপ ঝিঙে,করলা ও বেগুন চাষ করেন।

গত বুধবার রাতে তার রোপণকৃত ওই (১৫ শতাংশ) জমির সমস্ত ঝিঙে,করলা ও বেগুন গাছ কেটে দিয়েছেন দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে বিরইনতলা গ্রামে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহমেদ বলেন, আমির আলী একজন সৎ গরীব কৃষক সে দিনরাত পরিশ্রম করে (১৫ শতাংশ) চাষআবাদ করছেন। তার রোপণ কৃত জমিতে ঝিঙে,করলা ও বেগুন গাছ কেটে একটা অমানবিক কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করতেছি।

এ বিষয়ে কৃষক আমির আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সকালে জমি দেখার জন্য জমিতে যাই। গিয়ে দেখি আমার জমিতে রোপণকৃত সমস্ত ঝিঙে, করলা ও বেগুন গাছ কাটা। এই ক্ষতিতে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছি, এই ফসল কর্তনে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সহযোগীতা নিয়ে কৃষিকাজ করে থাকি।আমি ৩ জনের নাম উল্লেখ করে জুড়ী থানায় অভিযোগ দিয়েছি।পুলিশ এসে তদন্ত করে গেছেন।

এদিকে কৃষক আমির আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান জানান,ঘটনার সুত্রপাত হয় বালু তুলাকে কেন্দ্র করে কাইয়ূম,মাহফুজ,হাকিম ও ছমির রাতের আধারে বালি তুলে তা অবৈধভাবে বিক্রি করেন।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষেধ থাকা সত্বেও তারা এ রকম কাজ করে থাকেন।বিজিবি এ ধরনের কাজে নিষেধ করলে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরনের জঘন্য কাজ করেছেন।আমরা তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে হাকিম মিয়া বলেন, আমি বা আমার পরিবারের কেউ এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নই। কে বা কারা ফসল কাটছে তাও আমরা জানি না।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দছির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ধরনের জঘন্য ঘৃণিত কাজটা কে বা কাহারা কেটেছে কেউ দেখতে পাইনি তবে যে কেউ করুক কাজটা করা উচিৎ হয়নি আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।উভয় পক্ষ বিষয়টি জানিয়েছেন আমরা এটি সমাধানের চেস্টা করব।

ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সেলু বলেন,বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলেছি।স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করার চেস্টা করব।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জুড়ী থানার এসআই পরিতোষ পাল মুঠোফোনে জানান,কৃষক আমির আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করেছি তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।