শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সার্জারির ওটি ইনচার্জ সুধার ঘুষ বাণিজ্যের শিকার অসহায় রোগীরা।

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সার্জারির ওটি ইনচার্জ সুধার ঘুষ বাণিজ্যের শিকার অসহায় রোগীরা।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ওটি ইনচার্জ সুধা দাসের নানা বিধি অপকর্ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড হাসপাতালের সর্বজন পরিচিত। বিগত ৮ বছর যাবৎ ঐ বিভাগে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে একই ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করছে সে। বহুদিন যাবত একই স্থানে কাজ করার ফলে কৌশলে অসহায় রোগিদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে।
সুধার ব্যপারে সদর হাসপাতালে গণমাধ্যম কর্মীদের এক ছায়া তদন্তে উঠে আসে আরো অজানা কাহিনি। সুধা দাস তার কর্মস্থল টিকিয়ে রাখার জন্য হাসপাতালের উপর মহলের কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার ব্যাপারটিও উঠে আসে। গোপন সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ওবায়দুর রহমান হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় সুধা দাসের ওটিতে তর্ক-বিতর্ক অবস্থায় স্টক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। সুধার সাথে ওবায়দুর রহমানের কি সম্পর্ক ছিল যে, সুস্থ মানুষটি তার রুমে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেল, ব্যপারটি হাসপাতালে কর্মরত সকলের কাছে আজও ধোঁয়াটে।
দূর দুরন্ত থেকে ছুটে আসা রোগীদের অনেকের অভিযোগ ওটিতে অপারেশনের জন্য ঢুকলে ঔষধ থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য টাকা দিতে হয় তাকে। আর মজুত ধাকা ঔষধ বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় সে।
সুধার ব্যপারে জানতে চাইলে নাম না জানাতে ইচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, সুধা তার অবস্থান ঠিক রাখার জন্য প্রেম ভালোবাসার দিয়ে কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি অর্জন করে একই বিভাগে আট বছর যাবত টিকে রয়েছে।
সাবেক ওটি ইনচার্জ পুষ্প মন্ডল বলেন, আমরা ভদ্র পরিবারে সন্তান। ওর মত আমরা পারিনি এ কারণে ওর ব্যপারে কিছু বলবো না এ ব্যপারে তত্মাবধায়কের নিকট জানতে পারেন।
হাসপাতালের উপ সেবা তত্মাবধায়ক বলেন, ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে টিকে আছে। আপনাদের এক সাংবাদিকও ওর ব্যপারে তদবির করে টিকিয়ে রাখে। তবে ২ বছর পরপর ওটি ইনচার্জ পরিবর্তন করা হয়, আমরাই সকলের লিস্ট প্রদান করি এবার ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যপারে সদর হাসপাতালের তত্মাবধায়ক জীবিতেশ বিশ্বাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ব্যপারটি আমি দেখবো।আর একজন ইনচার্জ ২ বছরের বেশি সময় থাকতে পারবে না। আমি হাসপাতালে যোগদান করার আগে থেকেই সে ইনচার্জ হিসাবে ছিল। তার সময়কাল শেষ হলে তার স্থান নিয়ম মাফিক পরিবর্তন হবে।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন