সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

মুক্তিযোদ্ধা চেতনা সরকার পতন করতে বিএনপি মহাসমাবেশে পঞ্চগড়ের ৩ হাজার বিএনপির নেতাকর্মী

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি,খাদেমুল ইসলাম-

 

সরকার পতন আন্দোলনে
রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে পঞ্চগড় থেকে যোগ দিচ্ছেন ৩ হাজার নেতাকর্মী। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু।

জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, ঢাকায় মহাসমাবেশে আমাদের জেলা থেকে অংশ নিচ্ছেন ৩ হাজার নেতাকর্মী। মহাসমাবেশ ঘিরে এখন পর্যন্ত কোন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়নি। তবে পথে পথে তল্লাসীর নামে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।

জানা গেছে, বিএনপি সমাবেশে নেতাকর্মীরা অংশ নিতে বিভিন্নভাবে ঢাকা যাচ্ছেন।গত দুই দিন তিন আগে থেকেই দুরপাল্লার বাস ও ট্রেনসহ বিভিন্ন পরিবহনে চলে গেছেন তারা।

তবে মহাসমাবেশের আগে গত বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামাতের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছেন পুলিশ। এর মধ্যে ছয়জন বিএনপি ও তিনজন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। পুলিশ বলছে, এসব আটক বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে করা হয়নি। পূর্বের মামলায় গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকার আব্দুল গণির ছেলে শিবির সমর্থিত আহসান হাবীব (২৬), টাইয়াগছ এলাকায় এবাদত আলীর ছেলে জামাত সমর্থিত মনিরুজ্জামান (৪৫), জেলা সদর উপজেলার উত্তর রামেরডাঙ্গা এলাকার দুলাল উদ্দিনের ছেলে বিএনপি সমর্থিত সোহাগ (২৭), বোদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর ইসলাম লিটন (৩৮), চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহাগ ইসলাম, আটোয়ারীর বিএনপির সমর্থিত দুহসুহ গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলী (৪৫), চুচুলি বলরামপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে জামাত সমর্থিত সিদ্দিক (৪৭) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৩), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন (৪৫)। নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

জেলার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, নিয়মিত অভিযানের কার্যক্রম হিসেবে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপি-জামাতের মহা-সমাবেশ ঘিরে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আটককৃতরা পুরোনো মামলার আসামি ছিলেন।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিতভাবে বিভিন্ন মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কাউকে হয়রানি করে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের নামে পূর্বের মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ করে গত সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিল ১ হাজার ৩৫০ জন। এ মাসে কমিয়ে ৮০০ তে আনা হয়েছে।

থেকে আরও পড়ুন

থেকে আরও পড়ুন