পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি-
ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করায় আওয়ামী লীগে বিভক্তি পড়েছে।পঞ্চগড়-১ আসনে এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক,জেলা সহ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা,
আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রচার ও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা প্রতীক পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে মাঠে নামায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল হক প্রধান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দলের চেয়ে দলের বাইরের নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দেওয়ায় বিরোধ শুরু হয়। মজাহারুল হক প্রধান এমপি থাকার কারনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পঞ্চগড়-২ আসনের এমপি নুরুল ইসলাম সুজনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ সময় দলের নেতাকর্মীদের চেয়ে দলের বাইরের এবং আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজনদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছিলেন তিনি। দলীয় অনেক নেতাকর্মী বঞ্চিত হয়েছেন। অনেকে হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। পরে সম্মেলনে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ না থাকায় অনেকেই তার সঙ্গ ত্যাগ করেন। এতে মজাহারুল হক প্রধানের অনুসারীরা সামান্য
কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তার অনুসারী
অনেককেই মূল কমিটিতেই
। নবীন-প্রবীণ যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে পরিবারতন্ত্র ও গ্রহণযোগ্য নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করায় তৃণমূলে দলের ভিত যেমন দুর্বল হয়ে পড়ছে তেমনি দ্বন্দ্ব কোন্দলও বাড়ছে।
মজাহারুল হক প্রধান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে এখনো
অভিযোগ,তবে ঘোষিত জেলা কমিটিতে সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাতের পক্ষের ও তাদের উভয়ের পরিবারের লোকজনকে পদায়ন করা হয়েছে বেশি। ফলে অনেক ত্যাগী ও নিবেদিত নেতাকর্মীকে জেলা কমিটি রাখা হয়নি।