পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম-
পঞ্চগড় তেতুলিয়ায় শিল্প মেলাকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসাধারণ অপরাধীদের নিকট এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। উপজেলায় খুন, ডাকাতি, রাহজানি, ছিনতাই, লুটপাট, চুরি এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষে করে তেতুলিয়ায় পঞ্চগড় জেলা সহ দেবীগঞ্জ,আটোয়ারী,বোদা, এবং তেতুলিয়ায় অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। গত ২ মাসে তেতুলিয়ায় উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ১০ বাড়িতে চুরি, ডাকাটির ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতারা দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না। এখানে অপরাধীরা অপ্রতিরধ্য হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসীরা দিন দূপুরে শত শত মানুষের সামনে তেতুলিয়ায় মলম পার্টির খপ্পরে সর্বস্ব লুট করে নিচ্ছে কমপক্ষে ১০ টি ঘর বসত বাড়িতে ।তেতুলিয়ায় তিরনই হাট ইউনিয়নে বাবুয়ানিজোত বীরমুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দীন,ইসলামপুর গ্রামে মজিবর রহমান, । খয়খাট পাড়া গ্রামের পাথর ব্যবসাহী, সাব্দার আলী জানান,স্বর্ণ আলমারির ভেঙে চুরি হয়েছে।
৪ ভরি স্বর্ন নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।খয়খাট পাড়া গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেন, পেশা তিনি শালবাহান মাদ্রাসার শিক্ষক, মোঃ আইবুল হক তিনি ফকির পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাদের বসত বাড়িতে অজ্ঞান পার্টি সর্বস্ব লুট করে।
উপজেলা থানার ২শ’ গজের ভেতর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সাহেব জোত গ্রামে সাইদুর রহমান ও ডাকবাংলোতে ঢুকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি,তেতুলিয়া প্রাণ কেন্দ্র থেকে দিনে দুপুরে দোকানের তালা ভেঙ্গে মোটরসাইকেল চুরি করেছে। পুলিশসহ অন্যন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ দমনে জোরদার টহল ও কঠোর ভূমিকা না রাখায় দুর্বৃত্তরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভোগী মহলের অভিমত। গত দু’মাসের মধ্যে এলাকার শালবাহান, কালান্দী গঞ্জ এলাকায়গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম লালু, বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি,
মোটরসাইকেল ছিনতাই ও অপর ব্যবসায়ী দোকানের তালা ভেঙ্গে দিনে দুপুরে মোটরসাইকেল চুরি সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা।তেতুলিয়ায় বুড়িমুটকি গ্রামে পতিন চন্দ্র রায় ২ টি গরু চুরি।
। ডাকাতরা বাড়ির সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের বাধা দিতে এলে মারাত্মকভাবে আহত হয় তার স্ত্রী।
তেতুলিয়া সদর ইউপি সদস্য মোঃ মুনসুর আলী জানান,মাথা ফাটা গ্রামে টিউবওয়েল ৫ টি মটর চুরি
শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে টিউবওয়েল। তার সঙ্গে ঝুলছে তালাও। বিভিন্ন গ্রামে এখন এভাবেই টিউবওয়েল চুরি ঠেকানোর অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত গরু চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে মধ্য পিঠাখাওয়া গ্রামের খালেকের ২টি এবং
মো. নাছিরের ২টি, চৌধুরি গছ হিরা কান্ত বাবুর
২টি, মতিলাল রায় ৩ টি গরু মন্টু রায় ৩ লোহাকাচি গ্রামের আশরাফের ২ টি বাংলাবান্ধা এলাকার নাইবুলের ২ টি গোয়াবাড়ি মৃত করিমের ১ টি ভোলাজোত গ্রামের মোঃ ওয়াব আলীর ২ টি
গ্রামের যুগিগছ রুহুল আমিনের ২টি।
গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া মমিন পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক রবি চৌরাস্তা বাজার সাইকেল, (১১ অক্টবর) দর্জিপাড়া মটর চুরি, ভজনপুরে মটর চুরি, গোয়াবাড়ি মাহফুজা
বেগমের ১ টি ছাগল,মোকলেছ মাষ্টার ৩টি গরু, পিঠাখাওয়া গ্রামের নাছির আলীর ২টি গরু, পাড়ার জসিম উদ্দীনের মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এমনিভাবে উপজেলার ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম ও বাসিন্দারা পাড়ায় পাড়ায় কমিটি করে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। চুরি, ছিনতাই ও রোড ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিগত ২ মাসে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও গ্রামগুলোতে প্রায় প্রতি দিন চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক কথায় বলা যায় দুর্বৃত্তদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এদিকে এ সমস্ত ঘটনায় তেতুলিয়া থানায় বেশকটি অপহরণ, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দু-এক জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করলেও চুরি-ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। এ ব্যাপার তেতুলিয়া থানার ওসি আবু সাঈদ জানান, আমরা টহল জোদার করেছি। ঘটনার সাথে জড়িত অনেককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত।