ঢাকা সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩
১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বাংলা
শিরোনাম:
গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের প্রচেষ্টা, উৎসবমুখর ও সুন্দর একটি দূর্গা পূজা নিশ্চিত করা, নগদ ২১লাখ ২৫হাজার টাকা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক। জুড়ী ফুটবল ট্রেনিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া খুদে খেলোয়াড়েরাই একদিন দেশ-বিদেশে নাম ছড়িয়ে দেবে মধুপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায়, অবরুদ্ধ ৬০টি পরিবার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাব, সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল ভাইয়ের জন্মদিন, যে মাটিতে জীবনের শৈশব থেকে কৈশর কেটেছে, সে মাটির গন্ধ কখনো ভোলা যায় না, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অ্যাডভোকেট জানে আলম মিনা, চিন দেশে উইঘর মুসলিমদের নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে পঞ্চগড় সচেতন নাগরিকরা সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ মানব বন্ধন অনুষ্টিত, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু,

টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি ডিপো ও প্রশিক্ষন ইনস্টিউট সিন্ডিকেটদের দখলে।

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩ ১৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি 

 

 

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি দক্ষিন পাড়া এলাকার প্রভাবশালী বাগের বাড়ীর বিএনপি নেতা আকবর আলী শেখের ছেলে সালমান শেখ সামান্য ডেইলী বেতন ভুক্ত কারিগর, নিজের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স এখনও না থাকা সত্বেও বংশের ও বাপ-চাচাদের জোরে প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছে, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে গেলে এই সালমান শেখকে প্রশিক্ষনরত অবস্থায় গাড়ি থেকে নামানো হয়।এ ছাড়াও এই সালমানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। জানা যায় সালমানের চাচা আফজাল শেখ টুঙ্গিপাড়া থেকে বিএনপির এম,পি হিসাবে একবার নমিনেশন পেয়েছিলেন। সালমান সহ পরিবারের সকলেই বিএনপির রাজনিতীর সাথে সরাসরি ভাবে এখনও জড়িত। এরা সরাসরি বিএনপি পরিবার তা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সকলেই জানে। বাপ-চাচাদের জোরে সকল অপকর্ম করে যাচ্ছে এই সালমান।এদেরই দখলে টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় অবস্থিত বিআরটিসি টুঙ্গিপাড়া বাস ডিপো ও বিআরটিসি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট সরকারি ও বেসরকারী সকল সেক্টরের লোকজনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউড এর মাধ্যমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সহ সমগ্র গোপালগঞ্জের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থ হয়েছে।সরকারের ঘুচিয়েছে বেকারত্ব।
জানা যায় টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট এ এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সরকারের কোন নিয়ম না মেনে সিকিউরিটি গার্ড এর কর্মচারীরা প্রশিক্ষকের কাজ করে চলেছে দির্ঘ্য দিন যাবত। উপরোক্ত কর্মকর্তাদের আতাত করে এই সকল কর্মকান্ড করছে সাধারন কর্মচারীরা। যে যার ইচ্ছামত কাজ করে বেড়াচ্ছে দেখার কেউ নেই। সারা দেশ থেকে আগত সরকারি ও সাধারন প্রশিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এখানকার কিছু অসাধু কর্মচারীদের কারনে। এই বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার শুরু থেকেই একের পর এক সরকারের নিয়ম বহিভূত কর্মকান্ড চলেই আসছে। কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে প্রশিক্ষন ও সনদ প্রদান করা হয়, তার মধ্যে আনসার কর্মীদের-১মাস প্রশিক্ষন, সেফ প্রকল্প-৪ মাস প্রশিক্ষন, সাধারন পাবলিকদের প্রশিক্ষনে যারা অংশগ্রহন করেন তাদেরকে ১ মাসের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ড্রাইভিং সনদ প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে এখানকার কর্মচারীরা নানা কৌশলে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন সনদ দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা। এসব কর্মচারীদের কারনে চরম ভোগান্তিতে ভুগছে সাধারন প্রশিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, তাসরিফ খান নামক এক নিরাপত্তা প্রহরী টুঙ্গিপাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের হাত করে নানারকম দূর্নীতি ও অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সে তার ক্ষমতার জোরে বাংলাদেশের বিভিন্ন রুটে ১১টি বিআরটিসি গাড়ী পরিচালনা করছে যা সরকারী আইন বহিরভূত। সে কখনো কারো চাকরী দেবার কথা বলে, কারো গাড়ীর লাইসেন্স করে দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।এ ব্যপারে বহুবার বিআরটিসিতে শালিসির মাধ্যমে টাকা ফেরত দিতে হয়েছে তাকে।
এ ব্যপারে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ম্যানেজার) মোঃ আজিজুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে আসার পর সবকিছু বুঝতে পেরে ডেইলি বেসিস সালমানকে বের করে দেই, পরবর্তীতে বিভিন্ন নেতা কর্মী ও এলাকার চাপে পড়ে তাকে আবার নিতে হয়। এই সকল বিষয় নিয়ে আমার পরিবার ও হুমকীর সম্মুক্ষীন হয়। আমি এখানে যোগদান করার পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা সামলে রেখেছি।
বিআরটিসি সরকারের একটি উল্লেখ্যযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী বিআরটিসির সকল কর্মকান্ড দেখে হতবাক। অতি দ্রুত গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন ইনস্টিউট এর ব্যপারে সরকারের নজর দারি একান্ত প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি ডিপো ও প্রশিক্ষন ইনস্টিউট সিন্ডিকেটদের দখলে।

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি 

 

 

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি দক্ষিন পাড়া এলাকার প্রভাবশালী বাগের বাড়ীর বিএনপি নেতা আকবর আলী শেখের ছেলে সালমান শেখ সামান্য ডেইলী বেতন ভুক্ত কারিগর, নিজের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স এখনও না থাকা সত্বেও বংশের ও বাপ-চাচাদের জোরে প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছে, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিনে গেলে এই সালমান শেখকে প্রশিক্ষনরত অবস্থায় গাড়ি থেকে নামানো হয়।এ ছাড়াও এই সালমানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। জানা যায় সালমানের চাচা আফজাল শেখ টুঙ্গিপাড়া থেকে বিএনপির এম,পি হিসাবে একবার নমিনেশন পেয়েছিলেন। সালমান সহ পরিবারের সকলেই বিএনপির রাজনিতীর সাথে সরাসরি ভাবে এখনও জড়িত। এরা সরাসরি বিএনপি পরিবার তা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সকলেই জানে। বাপ-চাচাদের জোরে সকল অপকর্ম করে যাচ্ছে এই সালমান।এদেরই দখলে টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় অবস্থিত বিআরটিসি টুঙ্গিপাড়া বাস ডিপো ও বিআরটিসি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট সরকারি ও বেসরকারী সকল সেক্টরের লোকজনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউড এর মাধ্যমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সহ সমগ্র গোপালগঞ্জের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থ হয়েছে।সরকারের ঘুচিয়েছে বেকারত্ব।
জানা যায় টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট এ এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সরকারের কোন নিয়ম না মেনে সিকিউরিটি গার্ড এর কর্মচারীরা প্রশিক্ষকের কাজ করে চলেছে দির্ঘ্য দিন যাবত। উপরোক্ত কর্মকর্তাদের আতাত করে এই সকল কর্মকান্ড করছে সাধারন কর্মচারীরা। যে যার ইচ্ছামত কাজ করে বেড়াচ্ছে দেখার কেউ নেই। সারা দেশ থেকে আগত সরকারি ও সাধারন প্রশিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এখানকার কিছু অসাধু কর্মচারীদের কারনে। এই বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার শুরু থেকেই একের পর এক সরকারের নিয়ম বহিভূত কর্মকান্ড চলেই আসছে। কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে প্রশিক্ষন ও সনদ প্রদান করা হয়, তার মধ্যে আনসার কর্মীদের-১মাস প্রশিক্ষন, সেফ প্রকল্প-৪ মাস প্রশিক্ষন, সাধারন পাবলিকদের প্রশিক্ষনে যারা অংশগ্রহন করেন তাদেরকে ১ মাসের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ড্রাইভিং সনদ প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে এখানকার কর্মচারীরা নানা কৌশলে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন সনদ দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা। এসব কর্মচারীদের কারনে চরম ভোগান্তিতে ভুগছে সাধারন প্রশিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, তাসরিফ খান নামক এক নিরাপত্তা প্রহরী টুঙ্গিপাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের হাত করে নানারকম দূর্নীতি ও অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সে তার ক্ষমতার জোরে বাংলাদেশের বিভিন্ন রুটে ১১টি বিআরটিসি গাড়ী পরিচালনা করছে যা সরকারী আইন বহিরভূত। সে কখনো কারো চাকরী দেবার কথা বলে, কারো গাড়ীর লাইসেন্স করে দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।এ ব্যপারে বহুবার বিআরটিসিতে শালিসির মাধ্যমে টাকা ফেরত দিতে হয়েছে তাকে।
এ ব্যপারে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ম্যানেজার) মোঃ আজিজুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে আসার পর সবকিছু বুঝতে পেরে ডেইলি বেসিস সালমানকে বের করে দেই, পরবর্তীতে বিভিন্ন নেতা কর্মী ও এলাকার চাপে পড়ে তাকে আবার নিতে হয়। এই সকল বিষয় নিয়ে আমার পরিবার ও হুমকীর সম্মুক্ষীন হয়। আমি এখানে যোগদান করার পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা সামলে রেখেছি।
বিআরটিসি সরকারের একটি উল্লেখ্যযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী বিআরটিসির সকল কর্মকান্ড দেখে হতবাক। অতি দ্রুত গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার বিআরটিসি বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন ইনস্টিউট এর ব্যপারে সরকারের নজর দারি একান্ত প্রয়োজন।