গোমস্তাপুরে হত্যার উদ্দেশ্য ৮ আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু,

- আপডেট সময় : ০২:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩ ২৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃসামিরুল ইসলামঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি,
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুুরে হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট, গুরুতর জখন শ্লীলতাহানী সাথে চুরি থানায় এজাহার পূরন পূর্বক ৮ আসামির বিরুদ্ধে মামলা ২৫ জুলাই রুজু করা হয় মামলা নং-২১।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের আব্দুর রহিম(৫১) পিতা মৃত তোফাজ্জল হক এর সাথে তার আপন ভাই সেন্টু আলী(৫১) এর সাথে বসতবাড়ি জমি ভাগাভাগি নিয়ে প্রায় চার মাস থেকে বিরোধ চলে আসছে।এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সাহায্য তাদের বসতবাড়ির জমি সুষ্ঠুভাবে ভাগাভাগি করা হয়।কিন্তু আমার ভাই সেন্টুর বাড়িতে ধান রাখার দুইটি মাটির তৈরী কুঠি(গোলা) থেকে যায়। গত(২৩ জুলাই)দুপুর একটার সময় কুঠি(গোলা) সরানোর জন্য আমাকে বলে কিন্তু লোকজন কম থাকার কারণে, আমি পরে সরিয়ে নিবে এমন কথা বললে আমাকে বিভিন্নভাবে বকা-বকি করে।এবং আমার মাটির কুঠি(গোলা) না সরালে ভেঙে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।আমি এর প্রতিবাদ করলে এজাহার ভুক্ত আসামী(০১)ফিটু দফাদার(৬৩) পিতা মৃত মকবুল হোসেন,(০২)তৌহিদুল ইসলাম(৪৯) পিতা মৃত আলতাব হোসেন, (০৩) ওবাইদুল্লাহ(৩৯),আহম্মদ উল্লাহ(৩৬) উভয় পিতা মৃত মুনসুর রহমান,(০৫) মিঠু (৩২) পিতা ফিটু দফাদার,(০৬) ফারুক হোসেন(৬০),(০৭)মোতাবেল হোসেন(৫৭) উভয় পিতা মৃত এজাবুল হক,(০৮) ফুরকি বেগম(৬৫) স্বামী মৃত মুনসুর রহমান সকলেই উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন শেরপুর গ্রামে।এজাহার সূত্রে আরও জানা যায় আমার ভাই সেন্টুর পক্ষ নিয়ে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।আমি ও আমার স্ত্রী ছবি বেগম(৪৫)আসামিদের কে গালিগালাজ করতে নিষেধ করতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সকল হত্যার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বাঁশের লাঠি-লাদনা নিয়ে লাদনা দ্বারা আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে আমার স্ত্রীর মাথার ডান দিকে গুরুতর জখম করে। লাদনা দিয়ে আমার বোন রোজিনা বেগম(৫৩)কে আঘাত করলে বাম হাতে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হলে সে মাটিতে পড়ে গেলে তার পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে টেনে হেচড়ে নিয়ে যায়। লাঠি দিয়ে আমার মেয়ে শ্রাবনী(১৭) কে ডান হাতে আঘাত করে ফাটাসহ লিলা ফুলা করে দেয়।এবং সকলেই লাঠি-লাদনা নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি মেরে মাথায় ও সমস্ত শরীর লিলা ফেলে দেয়।উক্ত ঘটনার সময় আমাদের ডাক- চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থানে আসার আগেই আসামিগন আমার নতুন দরজা বিহীন বাড়িতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে(০৩) নং আসামি আমার ঘরের ভিতরে বাক্সতে নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। এবং সকল আসামি আমার বাড়িতে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি করে।আমার ভাগ্নী খুশিনা খাতুন(১৬) পিতা মৃত মফিজ উদ্দিন উক্ত ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার মাথার উপর চর থাপ্পড় মারে এবং শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করে তারা। স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলে আসামিগন আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজন কে প্রান নাশের হুমকি ধুমকি প্রদান করে চলে যায়। এই ঘটনার সাক্ষী(০১) মিজানুর রহমান(৪৫) পিতা মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক (০২) সলিমুদ্দিন(৪৪) পিতা মৃত সাদ আহম্মেদ, (০৩) মনোয়ারা বেগম(৫৬) স্বামী রমজান আলী (০৪) মিলন মিয়া(৩৪) পিতা রমজান আলী সকলের বাড়ি উপজেলা পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে।এই ঘটনা সম্পর্কে আরও অনেকেই জানে স্থানীয় লোকজন আমাদের শারীরিক অবস্থা সংকটা পণ্য দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তির জন্য নিয়ে যান।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মাহবুবুর রহমান জানান মামলা রুজু করা হয়েছে আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।