গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতি বছর দুই হাজার টাকা শীতকালিন ও গ্রীষ্ম কালীন খেলাধুলা বাবদ টাকা জমা দিতে হয় সরকারের খাতায় এই বলে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বাড়তি টাকা আদায় করছে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা
গোপা্লগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নারিকেলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফরহাদ শেখ ও প্রধান শিক্ষক সুজিত ভৌমিক একত্রে মিলিত হয়ে বাড়তি টাকা আদায় করছে সকল নিয়োম ভঙ্গ করছে বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।
সেরেজমিনে গেলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মিলিত হয়ে এই সকল অপকর্ম করছে। অভিভাবকরা বলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে প্রত্যেক প্রার্থীর নিকট হতে ১২ লক্ষ টাকা করে নিয়ে নিয়োগে বানিজ্য করেছে। বিদ্যালয়টি হয়েছে তাদের একটি ব্যবসায়ীক বানিজ্য কেন্দ্র।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মরিয়াম এর পিতা লিটন উকিল গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার মেয়ে এই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর নিয়মিত একজন ছাত্রী। ক্লাশের চুড়ান্ত পরিক্ষার ওরা আমার মেয়ের নিকট ১৫শত টাকা চেয়েছে। টাকাটা চাওয়ায় আমি বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে সে আমার মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে গিয়েছে সেউ সাথে সভাপতির লোক দিয়ে আমাকে মারতে গিয়েছে। তা পরেও তার কাছে হিসাব চাইলে তিনি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন খাতে সব মিলিয়ে ৩৭ শত টাকা আসে তার মধ্যে দুই হাজার টাকা খেলাধুলা বাবদ সরকারের খাতায় দিতে হয়। ভুক্তভোগী আরো বলেন, আমি বিদ্যালয়ের এই সন্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের আরো এক ভুক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমা্র মেয়ে অন্তরা ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। আমার মেয়ের কাছে টাকা চাইলে আমি বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে যায়।একই রুপে আমার উপর সভাপতির বাহীনি লেলিয়ে দেয়। এবং আমাকে হুমকী দেয়। এবং আমার মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয় খেকে চলে যেতে বলে। বিদ্যালয়ে থাকতে হলে তারা যা চাইবে তাই দিতে হবে। আমি এ ব্যপারে সকলের দৃষ্টিকর্ষন করছি।
এ ব্যপারে শিক্ষার্থী সুমাউয়ার বাবা বলেন, আমার মেয়ে সময়মত টাকাটা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে ওরা পরিক্ষা শুরু হবার দেড় ঘন্টা পর পরিক্ষার খাতা দিয়েছে। আমি ওদের বলেছিলাম আমি পরে এসে দেখা করবো তার পরেও তারা আমার মেয়ের সাথে এই ব্যবহার করেছে। এই বিদ্যালয়টা ওদের একটা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যপারে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ ব্যপারে কথা বলতে অস্বীকার করেন সেই সাথে বলেন রবিবার বিদ্যালয়ে আসেন তারপর কথা হবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতিকে মুঠফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,