- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের খাটিয়াগড় এলাকার মৃতঃ আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে বেলায়েত শেখের কাছ থেকে দূর্গাপুর ইউনিয়নের তহসিলদার দেলোয়ার হোসেন বিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মিউটিশন করে দেবে বলে অন্যের নামে করে দিয়েছে অভিযোগ করলেন বেলায়েত শেখ ।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, বেলায়েত শেখের ভাই গত চার বছর আগে তিন জন ওয়ারিশ রেখে মারা যায়। ভাই মারা যাওয়ার পর আমার, ভায়ের বউ ও বোনের নামে পৈতিক সম্পত্তি গত দুই বছর আগে মিউটেশন করতে গিয়ে এই সকল প্রতারনার শিকার হয় সে। দুই বছর যাবৎ আইনের দারে দারে ঘুরেও এর কোন সুফল সে পায় নাই। এ ব্যপারে বেলায়েত শেখ গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার ভুমি বরাবর সু-বিচারের আবেদনও করেছেন।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভার ০২ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা। খাটিয়াগড় এলাকায় আমাদের গ্রামের বাড়ী। আমার ভাই মারা যাওয়ার সময় তিনজন ওয়ারিশ রেখে জান আমি তার সম্পত্তি আমার বোন ও তার স্ত্রী নামে মিউটিশন করার জন্য দূর্গাপুর ইউনিয়নের তহসিলদার দেলোয়ারর এর কাছে গেলে সে আমার কাছে বিশ হাজার টাকা দাবী করে। আমি আমার বয়াস্ক ভাতার টাকা, ছাগল বেঁচা টাকা ও সমিতির লোন এর টাকা গুছিয়ে তাকে বিশ হাজার টাকা তাকে দেই। টাকাটা সে আমার কাছ থেকে দুই বছর আগে নিলেও এখনও সে জমিটির মিউটেশন করে দেয় নাই। উল্টো আমার ভাগিনার কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাদের পাওনা ৪ আনা জায়গার বদলে ৮ আনা জায়গার মিউটেশন করে দেয়। আমি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী আমার এই কষ্টের টাকা নিয়ে যারা প্রতারনা করেছে তাদের বিচারের ও আমার টাকাটা ফেরত পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধা্ন মন্ত্রীর নিকট আবেদন প্রার্থনা করছি , সেই সাথে গোপালগঞ্জ জেলাপ্রশাসক ও জমি সংক্রান্ত সকল বিভাগরে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ ব্যপারে তহসিলদার দেলোয়ার সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি তার কাছ থেকে কোন টাকা নেই নাই। সে যে জমির নামকরন করতে এসেছিল সে জমির মালিকের সৎ ভাই। সরকারের নিয়ামানুজায়ী সে যতটুকু পাবে তাই হয়েছে। বেলায়েত শেখ এর অবৈধ কাজটি আমরা না করায় আমার বিরুদ্ধে এই সকল কুচ্ছা রটনা করছে সে। আমার জানামতে সে একজন কু-প্রকৃতির লোক।