কমলগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোর সিন্ডিকেট চক্র,

- আপডেট সময় : ০৪:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ২১ বার পড়া হয়েছে

- মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
কমলগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোর সিন্ডিকেট চক্র। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ গরু চোরের দল সাধারণ জনগণের গরু চোরির পাশাপাশি নিয়ে যাচ্ছে জনপ্রতিনিধির গরু । গত ০৮/০৮ ২৩ তারিখ মধ্য রাতে ৫ নং সদর ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডের লংগুরপার গ্রামের ৩ বারের নির্বাচিত মেম্বার মাহমুদ আলীর ২ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র, তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে গত ১৭/০৮/২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আব্দুল বাছির মাস্টারের তিনটি গরু চোরি হয় এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চোরি হয়েছে, কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন ট্রাক, পিকআপ ভেন,ও সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা।
আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলা হয় থানায়। কারন, অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকায় পুলিশের কাছে থানায় অভিযোগও দিতে চান না অনেকে, যার ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।এদিকে পুলিশের রাত্রি কালীন টহল থাকার পরও চোরি ঠেকানো যাচ্ছে না। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চোরি করে যাচ্ছে।সাধারণ জনগণ কোন উপায় না পেয়ে যাদের গরু আছে তারা রাত জেগে পাহারা দেওয়া শুরু করছেন। অনেক কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে, আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চোরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। চোরি হওয়া এলাকার বাসিরা জানান, রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকেনা কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত নয়, বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা দরজার তালা ভেঙ্গে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা,সে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত কয়েক মাস ধরে কমলগঞ্জের ৮ নং মাধবপুর ইউনিয়ন ৫ নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও ৩ নং মুন্সি বাজার ইউনিয়ন এসব ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে গরু চোরির ঘটনা ঘটেছে ধারাবাহিকভাবে।
মুন্সিবাজার থেকে ভোরবেলা গরুসহ চোর আটক করা হয়।চোর রুবেল দেব,বাড়ী বাহুবল থানা, জেলা হবিগঞ্জ। বর্তমানে সে মৌলভীবাজারে সৈয়ারপুরে বসবাস করে বলে জানায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, চোরি হওয়া এলাকাগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং চোরদেরকে ধরে কোর্টে সোপর্দ করা হচ্ছে। মাদক ও চোরদের ধরার জন্য আমাদের জোরালো অভিযান অব্যাহত রয়েছে।